অগস্ত্যযাত্রা
অবয়ব
বাংলা
[সম্পাদনা]প্রবাদ
[সম্পাদনা]অগস্ত্যযাত্রা
- চিরদিনের জন্য প্রস্থান; যে-যাত্রায় বিদেশযাত্রী আর ফিরে আসে না; (উৎসকাহিনী- সুমেরুপর্বতকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরতে দেখে সূর্যকে বিন্ধ্যপর্বত বলে তাকেও যেন সে প্রদক্ষিণ করে; সূর্য তাতে অসম্মত হয়; বিন্ধ্যপর্বত ক্রুদ্ধ হয়ে নিজের আকার বৃদ্ধি ক’রে সূর্যের গতিপথ রুদ্ধ করে; জগৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে; সকলে বিন্ধ্যপর্বতক সঙ্কুচিত হতে অনেক অনুরোধ করে; বিন্ধ্যপর্বত অসম্মত হলে সকলে বিন্ধ্যপর্বতের গুরু অগস্ত্যমুনিকে সমস্যার প্রতিকার করতে অনুরোধ করে; অগস্ত্যমুনি বিন্ধ্যপর্বতের কাছে উপস্থিত হলে বিন্ধ্য নতমস্তকে গুরুকে প্রণাম করে; গুরু তাকে আশীর্বাদ ক’রে বলেন, ‘বৎস, আমি দক্ষিণাপথে যাচ্ছি, যতদিন না আমি ফিরি তুমি এই অবস্থায় অবস্থান কর'; অগস্ত্যমুনি সেই যে গেলেন আর উত্তরাপথে ফিরলেন না; বিন্ধ্যও আর মাথা তুলতে পারল না; ভাদ্রমাসের পয়লা দিনে অগস্ত্যমুনি দক্ষিণে যাত্রা ক’রেছিলেন এবং আর ফিরে আসেন নি বলে মাসের প্রথমদিনে বিদেশযাত্রা নিষিদ্ধ।)