উইকিঅভিধান, মুক্ত অভিধান থেকে

U+0995, ক
BENGALI LETTER KA

[U+0994]
বাংলা
[U+0996]

বহুভাষিক[সম্পাদনা]

বর্ণ[সম্পাদনা]

  1. ব্রাহ্মী লিপি পরিবারের অন্তর্গত পূর্ব নাগরী লিপির একটি বর্ণ

উচ্চারণ[সম্পাদনা]

বাংলা[সম্পাদনা]

উচ্চারণ[সম্পাদনা]

বর্ণ[সম্পাদনা]

  1. বাংলা বর্ণমালার প্রথম ব্যঞ্জনবর্ণবাংলা লিপিতে ব্যবহৃত হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

স্বরতন্ত্রীর সংস্পর্শে এই ধ্বনি সৃষ্টি হয় বলে "ক" বর্ণকে কণ্ঠ্যবর্ণ বা কণ্ঠধ্বনি বা জিহবামূলীয় ধ্বনি বলে।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

  1. 'ক' বর্ণে পূর্ণ মাত্রা রয়েছে।
  2. 'ক' বর্ণ, 'ক'-বর্গের প্রথম বর্ণ।
  3. 'ক' ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরযন্ত্রের ভিতরের স্বরতন্ত্রী কাঁপে না তাই এটি অঘোষ ধ্বনি
  4. স্পর্শ ধ্বনি 'ক' উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না তাই এটি অল্পপ্রাণ স্পর্শ ধ্বনি

উদাহরণ[সম্পাদনা]

কলম, কপাল, কলস, কঙ্কণ, কাব্য, কবিতা

ব্যবহার টীকা[সম্পাদনা]

(ক) – ক্রি (সকর্মক) - বলা, কহা। {(সংস্কৃত) কথ্‌>(প্রাকৃত) কহ্‌> (বাংলা) কহ্‌>কঅ>ক }
(ক) – বিশেষণরূপে ব্যবহৃত সর্বনামকয়েক, কতিপয়, কয় (যে ক-দিন এই এলাকায় আছি, সবার সাথে পরিচিত হবো) {(সংস্কৃত) কতি>(প্রাকৃত) কই‌> (বাংলা) ক }
(ক) – বিশেষ্য

  1. বর্ণমালা - বাচ্চারা 'ক' 'খ' খুব দ্রুত শিখে ফেলেছে
  2. বর্ণ-জ্ঞান; জ্ঞানশূন্য; বর্ণজ্ঞানহীন
  3. প্রারম্ভিক জ্ঞানগর্ভ পুস্তক বা বই (কম্পিউটারের 'ক' 'খ')


-ক (অধিকাংশ ক্ষেত্রে - ক্‌, তবে কোথাও কোথাও - ক) - বাংলা বিভক্তি, প্রত্যয় প্রভৃতি রূপে ব্যবহৃত 'ক'।
১. তদ্ধিত প্রত্যয়

  • ঢোল+ক=ঢোলক (ক্ষুদ্রার্থে);
  • মড়+ক=মড়ক (বিশিষ্টার্থে);
  • বৈঠ+ক=বৈঠক(বিশিষ্টার্থে);
  • টন+ক=টনক(বিশিষ্টার্থে)।

২. ঊনবিংশ শতাব্দিতে ব্যবহৃত ক্রিয়ান্তিক 'ক'- "দশজন বসিবেক;খাইবেক;লইবেক" (ক্রিয়াপদের এই রূপগুলি সম্ভ্রমাত্মক অনুজ্ঞার রূপ)।
৩. কর্ম বা সম্প্রদান কারকের বিভক্তির চিহ্নরূপে মধ্যযুগীয় বাংলায় ব্যবহৃত - 'ক':- তোহ্মাক, আহ্মাক, ' টুনিক বিবা করিল'।


-ক, -কো - উপেক্ষা প্রবণতাজ্ঞাপক প্রত্যয়রূপে নাস্তিবোধক 'না'-এর সঙ্গে ব্যবহৃত 'ক',
যথা -

থাকব নাক বদ্ধ ঘরে
দেখব এবার জগৎটাকেকাজী নজরুল ইসলাম

- 'নই'; এখন বোলো নাকো

যুক্তবর্ণ[সম্পাদনা]

  1. ক + = ক্ষ
    • ক্ষ-এর অবস্থান শব্দের প্রথমে থাকলে উচ্চারণ '' এর মত হয়। যেমন: ক্ষমা, ক্ষতি
    • ক্ষ-এর বর্ণটির অবস্থান শব্দের মাঝে বা শেষে থাকলে উচ্চারণ (ক + খ) এর মত হয়। যেমন: রক্ষা, লক্ষ, লক্ষণ
  2. ক + ষ + = ক্ষ্ম
  3. ক + ষ + = ক্ষ্ণ
  4. ক + = ক্ত