উইকিঅভিধান:প্রবাদ-প্রবচন

উইকিঅভিধান, মুক্ত অভিধান থেকে

ঈশানে উঠেছে মেঘ হবে বর্ষণ
ঈশ্বর তাদেরই সাহায্য করেন যে নিজেকে সাহায্য করে
ঈশ্বরের মার দুনিয়ার বার

উলুবনে মুক্তো ছড়ানো
উপদেশের চেয়ে দৃষ্টান্ত ভাল
উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায়
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে
উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট, উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট
উড়ে এসে জুড়ে বসা

ঊনো ভাতে দুনো বল, অতি ভাতে রসাতল
ঊনো বর্ষায় দুনো শীত

ঋণ করেনা যে, সুখী থাকে সে
ঋতু আসে ঘুরে ফিরে, বছরের চাকা ঘোরে

এক তরকারি নুনে পোড়া
এক মাঘে শীত নাহি যায়
এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা
এক কড়ার মুরদনেই, ভাত মারবার গোঁসাই
এক হাতে তালি বাজে না
এক যাত্রায় পৃথক ফল
এক ক্ষুরে মাথা কামানো
এক গোয়ালের গরু
এক ঢিলে দুই পাখি মারা
এক পাঁঠা তিন বারে কাটা
একে একে নিভিছে দেউটি
এমনি যায় না মাস, আবার দুদিন বেশি/বাকি

কত হাতি গেল তল, মশা বলে কত জল
কত ধানে কত চাল
কইয়ের তেলে কই ভাজা
কপালে নেইকো ঘি/ঠকঠকালে হবে কি
কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলেনা
কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে
কারো পৌষ মাস, কারো সবর্নাশ
কলের কাজ বলে হয়না
কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরালে পাজি
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা
কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন
কাম নাই কুত্তার আইলে আইলে দৌড়
কালনেমির লঙ্কাভাগ
কুল রাখি না শ্যাম রাখি
কোথা যাও গোপাল সঙ্গে যাবে কপাল

খাজনার চেয়ে বাজনা বড়/বেশি
খোঁয়াড়ে পড়লে হাতি, চামচিকেতেও মারে লাথি
খিদে থাকলে আলুনিও রোচে
খিদেই সবচেয়ে বড়ো ব্যঞ্জন
খাল কেটে কুমির আনা
খালি কলসি বাজে বেশি
খাইনা খাইনা করি টিপ্পা টিপ্পা ভরি।

গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল
গরু মেরে জুতা দান
গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না
গাছের ও খায় তলার ও কুড়ায়
গাছে না উঠতেই এক কাঁদি
গাছে তুলে মই কাড়া
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল

ঘুটে পুড়লে গোবর হাসে
ঘটি ডোবে না নামে তালপুকুর
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া
ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়
ঘাটে এসে নৌকা ডোবা
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া
ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি
ঘোড়ার ঘাস কাটা
ঘোড়া দেখে খোঁড়া হওয়া

চক চক করলেই সোনা হয় না
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা
চাপ পড়লেই বাপ
চাল নাই, ধান নাই, গোলাভরা ইদুঁর
চাল না চুলো ঢেঁকি না কুলো
চেনা বামুনের পৈতা লাগে না
চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা
চোখে সরিষার ফুল দেখা
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই
চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা

ছল করে জল আনা
ছুঁচ হয়ে ঢোকে, ফাল হয়ে বেরোয়
ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো
ছেড়ে দেমা কেঁদে বাঁচি
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা

জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-তিন বিধাতা নিয়ে
জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ
জলের রেখা, খলের পিরিতি
জোর যার মুলুক তার
জুয়াচোরের বাড়ি ফলাহার, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
জ্ঞানই শক্তি

ঝোপ বুঝে কোপ মার
ঝিকে মেরে বউকে শেখানো
ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফেরা
ঝুঁকি নেই তো লাভ নেই

টাকায় বাঘের দুধও মেলে
টাকায় টাকা, নাহলে ফাঁকা

ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়
ঠেলার নাম বাবাজি

ডুবন্ত মানুষ খড়কুটো পেলেও আঁকড়ে ধরে
ডুবে ডুবে জল খাওয়া

ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভানে
ঢিলটি ছুঁড়লে/মারলে পাটকেলটি খেতে হয়

তেলা মাথায় তেল দেওয়া
তিলে/তিলকে তাল করা

দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ
দশ চক্রে ভগবান ভূত
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা
দশের লাঠি, একের বোঝা
দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পোষা
দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো
দশ দিন চোরের এক দিন সাধুর/গৃহীর

ধর তকতা মার পেরেক
ধরি মাছ না ছুঁই পানি
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
ধরাকে সরাজ্ঞান করা
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে
ধান ভানতে শিবের গীত
ধান ভানবি লা, না ভানবার গা

নাচতে নেমে ঘোমটা টানা
নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা
নানা মুনির নানা মত
নাই/নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো
নিজের বলই শ্রেষ্ঠ বল
নিজের চরকায় তেল দাও
নামমাত্র প্রমাণে সত্যনির্ণয় নির্বোধের কাজ
নুন আনতে পান্তা ফুরোয়
নুন খাই যার গুণ গাই তার
না খেলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ
না দেখে দেখছে, পুঁটি মাছ লেখছে
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা
নেড়া দুবার বেল তলায় যায় না
নিজের বেলায় আঁটিসাঁটি পরের বেলায় দাঁতকপাটি

পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়
পাই না, তাই খাই না
পেটে খেলে পিঠে সয়
পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে
পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়
পাকা ধানে মই দেওয়া
পাতের ভাত কেড়ে নেওয়া
পুঁটি মাছের প্রাণ, দেখতে দেখতে যান
পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গা
পরকাল ঝরঝরে করে দেওয়া

ফেলে দিলে মোরে দাও
ফেল কড়ি মাখ তেল, তুই কি আমার পর
ফুরাল বনের আম, কি খাবি রে হনুমান
ফুলের ঘায়ে মূর্ছা খাওয়া
ফকিরের চালে চাল মেশানো

বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো
বড় কাজ এক নিমিষে হয় না
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
বাঁদরের গলায় মুক্তার হার
বামুন গেলো ঘর তো হাল তুলে ধর
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়
বাঁশবনে ডোমকানা
বাড়ির ঘরু বাড়ির ঘাস খায় না
বাড়ির বল কুত্তায়/কুকুরে করে
বিজ্ঞ যেথায় ভয় পায়, অজ্ঞ সেথায় আগে ধায়
বিপদ কখনো একা আসে না
বিপদে পড়িয়া সাধু কলাচোপা খায়
বিপদের বারো ভাই
বিন্দু বিন্দু জলে সিন্ধু সৃষ্টি
বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া
বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধে কে?
বিনা মেঘে বজ্রপাত
বিষ নেই কুলোপনা চক্কর
বিষে বিষে বিষক্ষয়
বেনাবনে মুক্তা ছড়ানো
বুদ্ধি যার বল তার
বোঝার উপর শাকের আঁটি

ভূতের ভয়ে উঠলাম গাছে, উঠে দেখি পেত্নি নাচে
ভস্মে ঘি ঢালা
ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানে না
ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই
ভাঁড়ে মা ভবানী
ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া
ভিটেয় ঘুঘু চরানো
ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ
ভূত দিয়ে ভূত ছাড়ানো

মন নয় মতিভ্রম
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা
মড়া মেরে খুনের দায়
মায়ের কাছে মামা বাড়ির গল্প
মায়ের বোন মাসি, দরদ একটু বেশি
মানুষ মাত্রই ভুল / মুনীনাঞ্চ মতিভ্রমঃ
মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক
মামু ভাগিনা যেখানে বিপদ/আপদ নেই সেখানে
মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভিজে না
মাথায় ঘোল ডালা
মাথা নেই তার মাথাব্যথা
মাছের মায়ের পুত্র শোক
মাছের তেলে মাছ ভাজা
মুড়ি মুড়কির এক দর
মুড়ি মিছরির এক দর
মেঘ না চাইতে জল
মুখে মধু অন্তরে বিষ
মরা হাতি লাখ টাকা
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত
মশা মারতে কামান দাগা

যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়
যার বিয়ে তার খোঁজ নেই, পাড়াপড়শীর ঘুম নেই
যার লাঠি তার মাটি
যেমন কর্ম তেমন ফল
যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেঁতুল
যিনি রক্ষক তিনিই ভক্ষক
যে ডালে বসে সেই ডাল কাটে
যত গর্জে তত বর্ষে না
যত দোষ নন্দ ঘোষ
যেমন কুকুর তেমন মুগুর

রাজার ঘরের দাসী/দিনে দশখানা বাসি
রাজার পাপে রাজ্য নষ্ট
রাখে ওপরওয়ালা মারে কে
রাজার মা ভিখ পায়না

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
লাথ মেরে নমস্কার
লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন
লাথির ঢেঁকি চড়ে উঠে না

শজনে শাকে নুন জোটে না, মসুর ডালে ঘি
শক্তের ভক্ত নরমের যম
শ্যাওলা ধুলে যায়না ময়লা

ষণ্ড রাজার গণ্ডগ্রাম
ষাঁড়াষাঁড়ির বান, সামলাও উজান