প্রধান
ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত একটি পদবী। বংশগত ভাবে যারা গ্রামে-এলাকার পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন এবং বিচারকার্য পরিচালনা করতেন তাদেরকে মূলত প্রধান বলা হত। কোন কোন জায়গায় মাতাব্বর বলা হত। প্রধান বংশ একটি সম্মানীয় সম্ভ্রান্ত বংশ হিসেবে ধরা হয়। ভারত,বাংলাদেশে প্রথমে ব্যবহার করা হয়। বিষয়ে করে বাংলাদেশর পূর্ব, দক্ষিণ দিকের আঞ্চলে এই পদবীটির ব্যবহার দেখা যায়। এছাড়াও উপমহাদেশের অনেক জায়গাতেই পদবী লক্ষণীয়। ধারণা করা হয় প্রধান বংশের লোকেরা অতীত কালে সব ধরণের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করতেন সমাজের সব ধরণের সমস্যা সমাধানে তাঁদের অগ্রণী ভূমিকা ছিলো। সেইখান থেকে প্রধান শব্দটি আসতে পারে বলে অনেক এ ধারণা করেন। ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা যুদ্ধেও প্রধান বংশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।বাংলাদেশের প্রধান বংশ (Pradhan dynasty) হল একটি ঐতিহাসিক পরিবার, যারা মূলত মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। প্রধান বংশের লোকেরা মূলত প্রশাসনিক ও সামরিক পদে কাজ করতেন এবং মুঘল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশে তাদের প্রভাব বিস্তার করতেন।
এই বংশের ইতিহাস মূলত মুঘল আমলের সাথে সম্পর্কিত। তাদের ক্ষমতা ও প্রভাব মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তি বৃদ্ধির সময়ে বেড়ে যায়। প্রধান বংশের সদস্যরা অনেক সময় জমিদার বা স্থানীয় শাসক হিসেবে কাজ করতেন এবং স্থানীয় রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন।
আরিফুর রহমান প্রধান একজন জমিদার ছিলেন এবং তিনি ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে আসেন। জমিদারি প্রথা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে প্রবর্তিত হয়েছিল এবং জমিদাররা সাধারণত বড় পরিমাণ জমির মালিক হতেন ও সেই জমি থেকে রাজস্ব আদায় করতেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর অনেক জমিদার তাদের সম্পত্তি এবং পরিবার নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান, যা বর্তমানে বাংলাদেশ, এ চলে আসেন।
১৯৪৭ সালের পর তারা নীলফামারী জেলার ডোমারে বসবাস শুরু করেন এবং সেখানকার স্থানীয় সমাজে তাদের ভূমিকা ছিল। জমিদারি প্রথা ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বিলুপ্ত হলেও অনেক জমিদার পরিবার তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বজায় রাখতে সক্ষম হন।
বাংলা
[সম্পাদনা]বিশেষণ
[সম্পাদনা]প্রধান
- শ্রেষ্ঠ
- শ্রদ্ধাভাজন
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
- মুখ্য
- আসল