ঝিনুক

উইকিঅভিধান, মুক্ত অভিধান থেকে

বাংলা[সম্পাদনা]

বিকল্প রূপ[সম্পাদনা]

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

অনার্য substrate অরিজিন; সম্ভবত একই উৎস থেকে বিভিন্ন সংস্কৃত শব্দ মলাস্কদের বৈশিষ্ট্যযুক্ত খোলসগুলির জন্য: कम्बु (কম্বু, খোলস, শঙ্খ), घोङ्घ (ঘোঙ্ঘ, bivalve খোলক), *गोग्ग (গোগ্গ, খোলস), शम्बु (শম্বু, মলাস্ক খোলস), शम्बूक (শম্বূক, বাইভালভ, শামুক) (যখন শামুক), অসমীয়া জেলুক "শামুক" এবং সংস্কৃত किञ्चुलुक (কিঞ্চুলুক) "কীট"।

উচ্চারণ[সম্পাদনা]

  • (রাঢ়): /dʒʱinuk/, [ˈdʒʱinuk]
  • (ঢাকা): /dʑʱinuk/, [ˈdʑʱinuk]

বিশেষ্য[সম্পাদনা]

ঝিনুক

  1. oyster; mussel; cockle; any bivalve
    1. bivalve or pearl shell

ব্যবহার নোট[সম্পাদনা]

ঝিনুক (Clam and mussel) দুই খোলকবিশিষ্ট অমেরুদন্ডী জলজ (Mollusca পর্বের) প্রাণী। প্রধানত সামুদ্রিক হলেও কিছু প্রজাতি স্বাদুপানির বাসিন্দা। Mytilus edulis জাতীয় কিছু ঝিনুক যে কোনো আশ্রয় আঁকড়ে থাকে। Lamellidens marginalis নামের ঝিনুক নদী, খাল, বিল, হাওর, বাঁওড় সর্বত্র প্রচুর সংখ্যায় দেখা যায়। এগুলি পরিস্রুতভুক (filter feeder) আর তাতে খাদ্য ও অক্সিজেন গ্রহণ একই সঙ্গে চলে। Meretrix গণের ঝিনুক সমুদ্রের মেঝেতে বাস করে। এদের খোলক ত্রিকোণ-ডিম্বাকার। ঝিনুকের নরম দেহটি একজোড়া শক্ত খোলকে আবৃত থাকে। খোলকদ্বয় একপাশে কবজার মতো যুক্ত থাকে। এদের মাথা ও চোখ নেই। প্রজাতিভেদে আকার, আকৃতি ও বর্ণে এদের পার্থক্য হয়। এটি লম্বায় ০.১-১৩৭ সেমি হয়। বৃহত্তর ঝিনকের ওজন কয়েক কেজি পর্যন্ত হয়। এরা ক্ষুদ্র জলজ উদ্ভিদ খায়। সিলিয়ার মাধ্যমে পানি শোষণ করে তা থেকে জৈব পদার্থ গ্রহণ করে। স্ত্রী ঝিনুক বছরে প্রায় ৫০ কোটি ডিম পাড়ে। প্রায় দশ ঘণ্টায় বাচ্চা ফোটে। ঝিনুক ৬-২০ বছর বাঁচে। শামুক হচ্ছে মোলাস্কা (mollusca) পর্বের গ্যাস্ট্রোপডা (Gastropoda) শ্রেণীর প্রায় সকল সদস্যের সাধারণ নাম। এরা নরমদেহী এবং প্রাপ্তবয়স্কদের দেহ একটি প্যাঁচানো খোলকে আবৃত থাকে। সাধারণত শামুক বলতে স্থলচর, সামুদ্রিক ও স্বাদুপানির শামুককে বোঝায়।


মরুভূমি, নদী ও স্রোতস্বিনী, বদ্ধ জলাশয়, জলাশয়, সমুদ্র উপকূলসহ অনেক আবহাওয়াতে শামুকের দেখা পাওয়া যায়। স্থলচর শামুক বেশীরভাগ মানুষের কাছে পরিচিত হলেও এরা আসলে শামুকের জগতে সঙ্খ্যালঘু। সামুদ্রিক শামুকেরাই বৈচিত্র্য ও সংখ্যায় অনেক বেশি এগিয়ে। স্বাদু পানিতে এবং এমনকী কটূ পানিতেও শামুকের সঙ্খ্যা প্রচুর। বেশীরভাগ শামুকই তৃণভোজী; তবে কিছু সামুদ্রিক শামুক প্রজাতি উভভোজী অথবা মাংসভোজী।

বিভিন্ন প্রজাতির শামুকের আয়ু ভিন্ন ভিন্ন। প্রকৃতিতে আকাটিনিডে শামুক ৫ থেকে ৭ বছর বাঁচে, আবার হেলিক্স প্রজাতির শামুক ২ থেকে ৩ বছর বাঁচে। অ্যাকোয়াটিক অ্যাপল জাতের শামুকের আয়ু মাত্র বছরখানেক। বেশীরভাগ শামুকের মৃত্যু হয় শিকারীর হাতে আর নয়তো পরজীবী দ্বারা। গৃহবন্দী অবস্থায় শামুকের আয়ু অনেক বেশি হয়, বেশীরভাগ প্রজাতির ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত। কিছু কিছু শামুকের আরো বেশী, প্রায় ৩০ বছর পর্যন্তও বাঁচার নজির রয়েছে

আগত পদ[সম্পাদনা]

Further reading[সম্পাদনা]

Sen, Sukumar (1971) বাংলার একটি ব্যুৎপত্তিগত অভিধান: ১০০০-১৮০০ খ্রি.[১], Calcutta: Eastern Publishers, পৃষ্ঠা 346.